মাইনের টাকা নিয়ম করেই পড়েছে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু সেই টাকা হাতে পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। নতুন মাস পড়া মানেই ছাপোষা ভারতীয়ের একগুচ্ছ অর্থব্যয়। বাড়ির পরিচারিকা থেকে দুধওয়ালা, কাগজওয়ালা। মাসকাবারি জিনিস হোক বা ইলেকট্রিক বিল বা বাচ্চাদের স্কুলের মাইনে। এমন নানা মাসিক খরচের ব্যয়ভার মাসের প্রথম সপ্তাহেই বহন করতে হয় সাধারণ মানুষকে। আর সেই পাহাড় প্রমাণ খরচের ধাক্কা সামলানোতে মাস পয়লার মাইনেটাই ভরসা। এমাসে সেখানেই বিপত্তি। ফলে বৃহস্পতিবার মাসের প্রথম দিনে ব্যাঙ্ক থেকে এটিএমের সামনে সকাল থেকেই বিশাল লাইন। যদিও আরবিআইয়ের দাবি তারা যথেষ্ট টাকা ব্যাঙ্কগুলিতে পাঠিয়েছে তবু আশঙ্কা রীতিমত পেয়ে বসেছে মানুষকে। তার ওপর অর্থমন্ত্রক যতই বলুক সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। অধিকাংশ ব্যাঙ্কই দিচ্ছে ৪ হাজার, ৫ হাজার, ৬ হাজার টাকা। সেটাই এদিনের উর্ধ্বসীমা। এটিএমে মিলছে ২ হাজার করে। তাও আবার হাতে গোনা। ফলে লাইনে দাঁড়িয়েও যে প্রয়োজনীয় খরচের অঙ্ক ব্যাঙ্ক থেকে মিলবে এমন ভরসা নেই। অনেকেই কাজ ফেলে একদিন বা দু’দিন লাইন দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে যদি ৮ বা ৬ হাজার সাকুল্যে হাতে আসে তবে মাসের শুরুর খরচ সামলানোই দায় হয়। যা বাস্তবে হচ্ছেও। আর হয়রানি যে কোন পর্যায়ে গেছে তা মাস পয়লায় টাকা তোলার লাইন থেকেই স্পষ্ট।