যতক্ষণ না রাজ্য থেকে সেনা প্রত্যাহার হচ্ছে ততক্ষণ তিনি নবান্ন ছেড়ে নড়বেন না। এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে নবান্নেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতেও নবান্নেই কাটান তিনি। শুক্রবার সকাল থেকেও সারাক্ষণ খবর নিচ্ছেন বিভিন্ন টোল প্লাজায় অবস্থানরত সেনার গতিবিধি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনও রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এভাবে সোনা মোতায়েন করা যায়না। এটা সেনা অভ্যুত্থানের সমান। রাজ্যের ৮০ শতাংশ জেলায় সেনা নামানো হয়েছে। সেনা প্রত্যাহার না হাওয়া পর্যন্ত তিনি নবান্ন থেকে একপাও নড়বেন না বলেও পরিস্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যে সেনা নামানো নিয়ে সংসদেও সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যকে না জানিয়ে কিভাবে রাজ্যে সেনা নামানো হল তা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই প্রশ্নকে সমর্থন করে কংগ্রেস। যদিও উত্তর দিতে উঠে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর জানান, রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজায় সেনা মোতায়েন নতুন কিছু নয়। এটা প্রতি বছরই হয়। সেইমতই সেনা কটা গাড়ি এল গেল তার তথ্য সংগ্রহ করছে। রাজ্যকে জানিয়েই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও পারিক্করের দাবি মেনে নেয়নি নবান্ন। এদিকে গত বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন বিভিন্ন টোল প্লাজায় গাড়ি থেকে তোলা আদায়ও করছে সেনা কর্মীরা। যদিও সেই দাবি এদিন উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। তাদের পাল্টা দাবি, এমন কোনও তথ্য দিতে পারলে তার তদন্ত করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে থাকলেও রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ক-কর্মীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাজভবনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। তবে রাজ্যপাল কলকাতায় না থাকায় তাঁরা সেনা মোতায়েনের নালিশ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জোড় করে সেনা মোতায়েনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।