সেনাবাহিনীর তরফে তাঁকে যা জানানো হয়েছে তার ভিত্তিতেই তিনি যা বলার বলেছেন। শনিবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে এমনই জানিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যে সেনা নামানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয়। সেনার বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পরই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিল তৃণমূল। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটেয় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, পূর্ণেন্দু বসু ও নির্মল ঘোষকে নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বাইরে বেরিয়ে পার্থবাবু জানান, সেনা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য তাঁরা ভাল চোখে দেখছেন না। তিনি সরাসরি রাজ্যপালকে তাঁর বক্তব্য নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তাতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন সেনার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তিনি যা বলার বলেছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পিছনে কোনও বিশেষ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করার গন্ধ রয়েছে। এদিন একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তৃণমূল প্রতিনিধিদল। রাজ্যপালকে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যের কাছ থেকে কোনও অনুমতি ছাড়াই সেনা নামানো হয়েছে। সেনাকে তাঁরা সম্মান করেন। কিন্তু সেনাকে কেন্দ্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যবহার করছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন পার্থবাবু।