পাতিপুকুর সুভাষ কলোনির অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ২ জনের। মৃতদের মধ্যে একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরী। অন্যজন সম্পর্কে তার কাকা। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর তাঁরা যখন টের পান তখন ঘর ছেড়ে দ্রুত বার হওয়ার চেষ্টা করেন। মৃতার বাবা ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বার হতে হতে বড় মেয়ে প্রিয়া অধিকারী ও ভাই নিমাই অধিকারীকে হাঁক দেন। যেন তাঁরাও দ্রুত বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁরা ঘর ছেড়ে বার হওয়ার পরই পাশের একটি ঝুপড়িতে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। আর তার ফলে আগুনে তেজ মুহুর্তে অনেকটা বেড়ে দিয়ে গ্রাস করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়া ও তার কাকা নিমাই অধিকারীর ঘর। সেই আগুনের গ্রাস ছাড়িয়ে বার হওয়ার মত সময় পাননি তাঁরা। বাইরে থেকেও তাঁদের উদ্ধার করতে ভেতরে ঢোকার কোনও উপায় ছিলনা। ঝুপড়ির মধ্যে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১৬ বছরের প্রিয়া ও তার ২৭ বছরের কাকা।