প্রথমে বাড়িতে ফোন। লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে ইচ্ছুক মানুষদের কাছে একটু সময় চাওয়া। তারপর ঠিক সময়ে বাড়িতে পৌঁছে ঋণ পাওয়ার পদ্ধতিগত দিক বোঝানো। ঋণ পেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে সব বোঝানোর পর ২ টো ক্যানসেলড চেক কেটে দিতে বলত তারা। ঋণ পাওয়ার শর্ত একটাই ঋণগ্রহীতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকতে হবে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। তাতে ঋণগ্রহীতা রাজি হলে চেক কাটতে বলত তারা। চেক ২টি ক্যানসেল করার জন্য নিজেরাই পেন এগিয়ে দিত ঋণগ্রহীতার দিকে। সেই পেনে ক্যানসেল লিখে সরল বিশ্বাসে ২টি চেক তাদের হাতে ধরিয়ে দিতেন ঋণগ্রহীতা। এবারই শুরু হত আসল খেলা। চেক নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই ভ্যানিশিং ইঙ্কের ম্যাজিকে চেকে লেখা ক্যানসেল কথা যেত উবে! এবার একটা বিশেষ ধরণের রবার দিয়ে চেকের পাতা আরও পরিস্কার করে নিয়ে ফাঁকা চেকে পছন্দমত টাকার অঙ্ক বসিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত তারা। এভাবে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে প্রায় জনা ষাটেক মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বিনয় জয়সওয়াল ওরফে অঙ্কিত শর্মা, ধীরজ গুপ্তা ও সাদাম আনোয়ার ওরফে অবিনাশ। প্রথম ২ জন উল্টোডাঙার বাসিন্দা, সাদাম চিৎপুরের। এতদিন জালিয়াতি চালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হলনা। পুলিশের জালে ধরা পড়ল এই ৩ জালিয়াত। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।