জটিলতা শুরু হয়েছিল সকাল থেকেই। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় ট্রানজিট রিমান্ডে উদয়ন দাসকে নিয়ে কলকাতায় আসার বিমানে চড়তে পারছিল না বাঁকুড়া পুলিশ। প্রায় দিনভর সেই টানাপোড়েন চলার পর অবশেষে বিকেলে জটিলতা কাটে। ডিজিসিএ-এর হাতে এসে পৌঁছয় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র। সেই ছাড়পত্র পাওয়ার পরই উদয়নকে নিয়ে বিমানে চড়েন বাঁকুড়া পুলিশের আধিকারিকরা। এদিকে বাবা-মা ও প্রেমিকা আকাঙ্ক্ষাকে খুন করে নিজের কুকর্ম ঢাকার কম চেষ্টা চালায়নি উদয়ন। সেই কুকর্ম ঢাকতে ফেসবুককে কাজে লাগিয়েছিল সে। পুলিশ জানতে পেরেছে, আকাঙ্ক্ষাকে খুন করার পরও ফেসবুকে আকাঙ্ক্ষার হয়ে নিজে পোস্ট করত উদয়ন। সেখানে কখনও থাকত দামী গাড়ি কেনার কথা, কখনও তাদের সুখী জীবনের কথা। সবমিলিয়ে আকাঙ্ক্ষা কত সুখে আছে তা উদয়ন জাহির করত আকাঙ্ক্ষা সেজে। অন্যদিকে নিজের ফেসবুকেও দামী দামী গাড়ির ছবি, উচ্চমার্গের জীবন দর্শনের বাণী, কোনও কিছুই বাদ দেয়নি উদয়ন দাস। যদিও এতকিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। আকাঙ্ক্ষার খোঁজ করতে গিয়ে উদয়নের একের পর এক কুকীর্তি পুলিশের সামনে এসেছে। যা দেখে বারবার চমকে উঠেছেন দুঁদে পুলিশ অফিসারেরাও।