প্রকাশ্য দিবালোকে পার্কের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলছেন এক বৃদ্ধা। তাঁর গায়ের আগুনে যেখানে দাঁড়াচ্ছেন সেখানে ঘাস যাচ্ছে পুড়ে। সেসব চোখের সামনে দেখছেনও সকলে। কিন্তু কারও মনে হচ্ছেনা, এগিয়ে গিয়ে কোনওভাবে বৃদ্ধাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা উচিত! বরং পুড়তে থাকা বৃদ্ধাকে বাঁচানোর জন্য ১০০ ডায়াল করে পুলিশ ডেকে কর্তব্য সেরেছেন তাঁরা। পুলিশ কখন ফোন শুনে এতটা পথ এসে বৃদ্ধার গায়ের আগুন নেভাবে তার অপেক্ষায় রইলেন বিজয়গড়ের কতিপয় বাসিন্দা। যাঁদের সামনে ক্রমশ লেলিহান শিখায় ঝলসে গেল এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধার সর্বাঙ্গ। তবু একবারও কারও মনে হলনা পুলিশের অপেক্ষায় থাকলে বৃদ্ধাকে বাঁচানো যাবে না। বরং আগুন নেভানোর পরিচিত উপায়গুলো নিজেদের উদ্যোগেই প্রয়োগ করার চেষ্টা করলে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে!
কলকাতার এমনই এক অমানবিক মুখ গোটা দেশকে অবাক করে দিয়েছে। ছি, ছি, করছেন খোদ কলকাতারই অনেক মানুষ। পুলিশ এসে কল্পনা বর্ধন নামে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন কল্পনাদেবী। তদন্ত শুরু হয়েছে।