ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হল রবিনসন স্ট্রিট কঙ্কাল কাণ্ডের পার্থ দে-র অগ্নিদগ্ধ দেহ। পার্থ দে-র বাবা অরবিন্দ দে-র যেভাবে মৃত্যু হয়, ঠিক সেই রাস্তাই পার্থ বেছে নিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। গত ২০১৫ সালের জুন মাসে রবিনসন স্ট্রিটে দে বাড়ির একটি বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় অরবিন্দবাবু দেহ। তার পরের বছর ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় পার্থ দে-র দিদির কঙ্কাল। ঘটনা সামনে আসতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে পার্থ দে-কে পাভলভ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মাদার হাউসে বেশ কিছুদিন কাটিয়ে তারপর একদিন ভ্যানিস হয়ে যান পার্থ দে। কারও কাছেই তাঁর খোঁজ ছিলনা। অবশেষে ওয়াটগঞ্জের এই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল তাঁর দগ্ধ দেহ।
প্রতিবেশিদের দাবি, পার্থ দে-র ফ্ল্যাট থেকে তাঁরা কোনও আওয়াজ পাননি। পার্থ দে-কে তাঁরা ভাল মানুষ হিসাবে মেনে নিলেও সকলেরই বক্তব্য পার্থ কারও সঙ্গে কথা বলতেননা। নিজের মত থাকতেন। এমনও হতে পারে যে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।