আগামী শুক্রবার বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিস্টমেন্ট বিল। যেখানে একাধিক কড়া পদক্ষেপের রাস্তা খুলে রাখছে সরকার। জরিমানা থেকে প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত সব রাস্তাই খোলা থাকছে বিলে। সূত্রের খবর, বিলে থাকছে একাধিক কড়া অবস্থান। গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যু প্রমাণিত হলে ন্যুনতম ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে হাসপাতালের। চিকিৎসায় বড় ধরণের গাফিলতি ধরা পড়লে ৫ লক্ষ টাকা ও কম গাফিলতি দরা পড়লে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানার রাস্তাও খোলা থাকছে। এমনকি চিকিৎসায় গাফিলতির তেমন অভিযোগ সামনে এলে কমিশন তা খতিয়ে দেখে মনে করলে হাসপাতালের লাইসেন্সও বাতিল করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সর্বৈব ক্ষমতা থাকবে কমিশনের হাতে। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন যে নির্দেশ দেবে তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার রাস্তাও খোলা থাকছে না বিলে। ফলে জরিমানা বা লাইসেন্স বাতিলের কোপে পড়লে নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ নিতে আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে পারবে না।
বিলে আরও বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ থাকছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অ্যাসিড হামলা, ধর্ষণ বা দুর্ঘটনার মত ক্ষেত্রে কোনও রোগী ভর্তি হতে এলে তাঁকে ফেরানো যাবেনা। সেক্ষেত্রে তাঁর খরচ করার ক্ষমতা কতটা তা জরুরি নয়। তা মেপে দেখে চিকিৎসা করা যাবেনা। টাকা না থাকলে দেহ আটকে রাখা যাবেনা। অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করে বিল বাড়ানো যাবে না। জীবনদায়ী ওষুধ কোনও রোগীকে দেওয়ার দরকার হলে দিতে হবে। তা বন্ধ করা যাবে না। বিলটি শুক্রবার বিধানসভায় পেশ হয়ে পাশ হয়ে গেলে যে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন গড়া হবে তার মাথায় থাকবেন হাইকোর্টের কোনও বিচারপতি বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।