সময়ে পিএফের টাকা জমা না দেওয়ায় সিজ করে দেওয়া হল আনন্দলোক হাসপাতালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। আর তার জেরেই আপাতত তালা পড়ল হাসপাতালের গেটে। রাতারাতি বেকার হয়ে গেলেন প্রায় দেড় হাজার কর্মী। আতান্তরে পড়েন রোগীরাও। কয়েক ঘণ্টার নোটিসে রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে কালঘাম ছুটে যায় তাঁদের আত্মীয়দের। বেশ কিছুদিন ধরেই কর্মীদের পিএফের টাকা জমা পড়ছে না বলে পিএফ কমিশনে নালিশ আসছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পিএফ কমিশনার আনন্দলোককে অবিলম্বে পিএফের বকেয়া বাবদ ৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চেয়ে চিঠি পাঠায়। কিন্তু সেই টাকা সময়ে দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে সিজ করা হয় রাজ্যের সবচেয়ে কম খরচের বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট। কম খরচে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে আনন্দলোকের সুনাম আছে। রাজ্যে করুণাময়ী সহ আনন্দলোক হাসপাতালের শাখা ১১টি। সবগুলিতেই রাতারাতি তালা ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, আনন্দলোক চলে রোগীদের থেকে পাওয়া ফি ও অনুদানের টাকায়। সেখানে পিএফ জমা দেওয়ায় কিছু গাফিলতি হয়েছে বলেও মেনে নেন তাঁরা। পাশাপাশি এত কম খরচে রোগীদের পরিষেবা দিতেও তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে সব মিলিয়ে হাসপাতাল আপাতত বন্ধ। তবে হাসপাতাল যাতে আবার চালু করা যায় তারজন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আনন্দলোকের কর্ণধার দেওকুমার শরাফ।