পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল কালীকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের শেষকৃত্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সকালে দুর্ঘটনার পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর সেখান থেকে প্রথমে দেহ নিয়ে আসা হয় নবান্নে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সন্তোষপুরে কালীকাপ্রসাদের বাড়িতে। বাড়িতে তখন বহু গুণীজন ও অনুরাগীর ভিড়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে সাধারণ মানুষের শেষশ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শায়িত রাখা হয় দেহ। পরিবারের লোকজন বেষ্টিত কালীকাপ্রসাদকে এখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিল্প-সংস্কৃতি জগতের বহু মানুষ। আসেন মুখ্যমন্ত্রীও। পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। কথা বলেন কালীকাপ্রসাদের পরিবারের মানুষের সঙ্গে। সন্ধেয় রবীন্দ্র সদন থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। রবীন্দ্র সদন থেকে কেওড়াতলা পর্যন্ত পথে বহু অনুরাগী পা মেলান। কেওড়াতলায় কালীকাপ্রসাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল বলার ভাষা হারিয়েছেন। আর বাংলা হারাল এই মাটির লোকগানের এক প্রকৃত ধারক ও বাহককে।