মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনার কথা জানিয়ে এলেন সুনীল পাণ্ডের স্ত্রী। মেডিকা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির সুস্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই যে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তেমন দাবি করে দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন তিনি। সুবিচার চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করে এদিন বেলায় মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন সুনীল পাণ্ডের স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সব কথা শোনেন। পরে সুনীল পাণ্ডের স্ত্রী জানান, তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ বিহিতের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সান্ত্বনা দিয়েছেন তাঁকে। এমনকি তিনি চাইলে রাজ্য সরকার তাঁকে একটি চাকরিও দিতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। গত ৬ মার্চ বুকে ব্যথা নিয়ে মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি হন পাটুলির বাসিন্দা মধ্যবয়সী সুনীল পাণ্ডে। হাসপাতাল জানায় সুনীল পাণ্ডের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। কিন্তু রক্ত জমাট বেঁধে সুনীলের বাঁ পায়ে পচন ধরতে শুরু করেছে। পা কেটে বাদ দিতে হবে। মানুষটাকে বাঁচাতে হাসপাতালের সেই কথাও মেনে নেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবার। গত ১১ মার্চ কেটে ফেলা হয় সুনীলের পা। তখনও তাঁর পরিবার বুঝে উঠতে পারছিলেন না বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়ে পায়ে পচন ধরল কী করে! তারপরও তাঁরা শুধু চেয়েছিলেন সুনীলকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু ১৩ মার্চ হোলির দিন সকালে হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয় সুনীল মৃত। এই ঘটনায় হাসপাতালের চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে বলেই অভিযোগ করে সুনীলের পরিবার। তাঁরা গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনেও দেখা করে মেডিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসেন।