শুক্রবার রাতে অপহরণের মামলা রুজু। তদন্তে নামে পুলিশ। শুরু হয় লাগাতার তল্লাশি। তার জেরেই শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ তাকে রাজারহাটের সিটি সেন্টার টু-এর একটি দোকান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার রাতে। পুলিশের কাছে সল্টলেক সিএফ ব্লকের এক পরিবার অভিযোগ করে তাদের মেয়েকে কে বা কারা অপহরণ করেছে। অভিভাবকদের দাবি, সন্ধেবেলা পাড়ার দোকানেই জিনিস কিনতে বার হয়েছিল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। তখনই তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের কাছে তাঁরা দাবি করেন তাঁদের মেয়েই ফোন করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর দেয়। সেইমত তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। নিখোঁজ ছাত্রীর ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখতে গিয়ে পুলিশ দেখে রাত দশটা নাগাদ তার টাওয়ার কোন্নগরে দেখা যাচ্ছে। ১১টার সময় সেই লোকেশন বদলে দেখা যায় ফোন রয়েছে গিরিশ পার্কের কাছে। এর মিনিট পনেরো বাদে মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। রাতভর ছাত্রীর আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর ও বন্ধুদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তেমন কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। তবে তল্লাশি জারি থাকে। শনিবার বেলার দিকে আচমকাই ফের চালু হয় ছাত্রীর মোবাইল। বেলা ১১টা নাগাদ তার মোবাইল টাওয়ার লোকেশন রাজারহাট সিটি সেন্টার টু-তে দেখা যায়। পুলিশ হাজির হয় সেখানে। দেখা যায় ওই ছাত্রী একটি স্টলের সামনে ঘোরাফেরা করছে। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বিধাননগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী। স্বীকার করে অপহরণের পুরোটাই নাটক। আসলে পরীক্ষার ফল ভাল হবেনা আশঙ্কা করেই অপহরণের ছক করে সে। ঘুরে বেড়ায় ভাড়া করা ক্যাবে। সারারাত এভাবেই শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরেছে সে। অবশেষে বাবার চোখ এড়াতে পারেনি। সিটি সেন্টারের কাছে বাবার কাছে ধরা দিতে হয় তাকে।