ট্রাক ধর্মঘটের জেরে বাজারে যোগানে টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবে এখনও অবস্থা ভয়ংকর চেহারা নেয়নি। ফলে দাম চড়েনি। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৩-৪ দিন পর থেকেই বাজারে টান পড়তে শুরু করবে। বাড়তে থাকবে মাছ থেকে কাঁচা বাজারের দাম। এমনই দাবি করলেন মানিকতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রভাত দাশ। প্রভাতবাবু জানালেন, এখন চৈত্র মাসের শেষ। এই সময়ে অনেক পুজো থাকে। উপোষ চলে বাঙালির ঘরে ঘরে। ফলে মাছ, মাংস, ডিমের চাহিদা তেমন থাকেনা। যেটা এই সময়ে ভালই হয়েছে। যা মজুত রয়েছে তা দিয়ে চলে যাচ্ছে বেশ কটাদিন। কিন্তু তা তো অনন্তকাল চলতে পারে না। তাই দ্রুত ট্রাক ধর্মঘট না মিটলে বাজার চড়তে থাকবে। এমনকি প্রভাতবাবুর দাবি, ট্রাক ধর্মঘট যদি দু-এক দিনের মধ্যে উঠেও যায়, তাহলেও চিন্তার কারণ আছে। ধর্মঘট মিটলেও অবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও দু-চার দিন লেগে যাবে। ফলে এই মুহুর্তে তেমন সমস্যা না থাকলেও অচিরেই বাজারের দাম চড়চড় করে চড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কলকাতায় মাছের বাজার হিসাবে সুখ্যাতি আছে মানিকতলার। সরেস মাছের যোগান এই বাজারে চিরকালই ভাল। প্রভাতবাবু জানালেন, নোট বন্দির পর কিন্তু সেই বাজার আর নেই। আগে সপ্তাহান্তে সল্টলেক বা অন্যান্য দূরদূর জায়গা থেকে মানুষ গাড়ি নিয়ে মানিকতলায় মাছ কিনতে আসতেন। মোটা টাকার মাছও কিনতেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা দামের পরোয়া করতেন না। কিন্তু নোটবন্দির পর তাঁরাই এখন মেপে মাছ কিনছেন। ফলে মাছ ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছেন। সেই রমরমা বাজার এখন আর হচ্ছেনা। নগদের বিনিময়ে বাজার করায় অনেকক্ষেত্রে কালো টাকা খরচ করা হত বলেই মনে করছেন তিনি। নোটবন্দির পর তা অনেকটাই কমেছে। যার ফলে বাজারে তার প্রভাব স্পষ্ট। তারওপর চৈত্র শেষে নানা পুজোর বাজার আরও স্তিমিত করে দিয়েছে। এই অবস্থায় আবার ট্রাক ধর্মঘটের হাত ধরে দাম বাড়তে শুরু করলে মাছ বা আনাজের বাজারের ঠিক কী দশা হবে তা ভেবে এখন থেকেই চিন্তায় মানিকতলার ব্যবসায়ীরা।