আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। তা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আচমকাই ধেয়ে এল ঠান্ডা বাতাস। মুহুর্তে প্রবল ঝড়ের আকার নিল সেই বাতাস। ধুলোর কুণ্ডলী পাকিয়ে শোঁ শোঁ আওয়াজে ঝড়ের দাপট দ্রুত বদলাতে শুরু করল তাণ্ডবে। তবে খুব বেশিক্ষণ নয়। তারপরই শুরু হল বৃষ্টি। সাধারণত রবিবার সন্ধে মানেই সোমবার থেকে ফের একটা সপ্তাহের যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য গাঁটছড়া বাঁধা। কিন্তু রবিবার সে চিন্তা ছিলনা। পরদিন মে দিবস হওয়ায় অধিকাংশ অফিসে ছুটি। বন্ধ স্কুল, কলেজও। ফলে ছুটি। আর সেই ছুটির আগের দিন সন্ধেয় এমন এক তোফা বৃষ্টি কার্যতই মুড বদলে দিল শহরের। কেউ রাতের মিষ্টি জলে ভিজলেন। কেউ জানালায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করলেন বৃষ্টির ছিটে। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়ার দমকে শরীর থেকে হু হু করে বার হতে থাকল উত্তাপ। সারাদিনের প্রবল গরমের পর এমন প্রাণ জুড়নো বৃষ্টিতে অন্য আবেশে শহর। অবশ্য বিয়ে থাকায় ঝড়, জলে কিছুটা সমস্যা যে হয়নি তা নয়। বৈশাখে এমন এক কালবৈশাখী কে না চায়! সেটাই জুটল রবিবার। সকলের রাতের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে প্রায় ২০ মিনিটের বৃষ্টি বড় পাওয়া হয়ে রইল সকলের।