সোমবার রাতে মদ্যপানের প্রতিবাদ দিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। সেই গণ্ডগোল ক্রমশ উত্তপ্ত আকার নেয়। চারু মার্কেট থানা এলাকার ২ পাড়ার মধ্যে রাতেই ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এলে তখনকার মত শান্ত হয় পরিস্থিতি। কিন্তু আগুনটা ধিকিধিকি জ্বলছিল। আর তা এদিনও যে প্রশমিত হয়নি তা বেলা গড়াতেই পরিস্কার হয়ে গেল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ফের ২ পাড়ার মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। যথেচ্ছ কাচের বোতল ছোঁড়া হয়। চলে ইটবৃষ্টি। রেলব্রিজের একপ্রান্তে এক পাড়া ও অন্যপ্রান্তে অন্য পাড়ার বাসিন্দারা একে অপরের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। রেল লাইনের ওপর উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও পাথর বর্ষণ চলে। রেল লাইনের বড়বড় পাথর ছোঁড়া হয়। রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অবস্থা সামাল দিতে চারু মার্কেট থানার পুলিশ যথেষ্ট না হওয়ায় আনা হয় টালিগঞ্জ ও চেতলা থানার বিশাল বাহিনী। অবশেষে পুলিশ দুই ভাগে ভেঙে দুটি পাড়াকে শান্ত করার উদ্যোগ নেয়। অবস্থা সামাল দিতে মৃদু লাঠিচার্জও করা হয়। সকলকে বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে একটি পাড়ার বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ায় এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় পুলিশি তৎপরতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। পাথরের ঘায়ে দুই পুলিশকর্মী ও দুই যুযুধান পাড়ার বেশ কয়েকজন আহত হন।