মাধ্যমিকে এবার রেকর্ডের লাইন। পাসের হারে রেকর্ড গড়েছে ২০১৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পাস করেছে ৮৫.৬৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এবার নয়া মডেলে হয়েছে মাধ্যমিক। এবারই প্রথম। আর সেখানেই পাসের হারে রেকর্ড গড়ল ছাত্র জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ফল। পরীক্ষায় বসেছিল ১১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। শুধু পাসের হারেই নয়, প্রথম স্থানাধিকারীর নম্বরও রেকর্ড গড়েছে। মাধ্যমিকের ইতিহাসে এত বেশি নম্বর নিয়ে প্রথম স্থানের নজির নেই। ফলে সেদিক থেকে রেকর্ড গড়েছে বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষায়তন হাইস্কুলের অন্বেষা পাইন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০০-র মধ্যে ৬৯০। অনেকদিন পর মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে কোনও ছাত্রীকে দেখতে পেলেন রাজ্যবাসী। অন্বেষার চেয়ে ১ নম্বর কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২ জন। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের মোজাম্মেল হক ও হুগলির রামনগর হাইস্কুলের অনির্বাণ খাঁড়া। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১ জনই। ৬৮৮ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট হাইস্কুলের দীপ্তেশ পাল। ৬৮৭ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান দখল করেছে ৬ জন পরীক্ষার্থী। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ৪ জন পরীক্ষার্থী।
এবার কলকাতা পঞ্চম স্থান দিয়েই শুরু করেছে। ৬৮৬ নম্বর পেয়ে ৪ জনের মধ্যে একজন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের অরিত্র মণ্ডল। এবার যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ফলাফল বেশ চোখে পড়ার মতন। এবার মেধার লড়াই এতটাই হাড্ডাহাড্ডি ছিল যে মাধ্যমিকের প্রথম ১০ জনে জায়গা করে নিয়েছে ৬৮ জন। যার মধ্যে কলকাতার পরীক্ষার্থী ৭ জন। বাকিটা জেলার। ফলে এবারও মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার। পাসের হারের নিরিখে জেলাভিত্তিক প্রথম স্থান পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার পাসের হার ৯৬.০৬ শতাংশ। কলকাতার পাসের হার সে তুলনায় অনেকটাই কম, ৮৮.৯৩ শতাংশ।
এদিন ট্যুইট করে মাধ্যমিকের সকল সফল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেজাল্ট প্রকাশের পর মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী অন্বেষা পাইনকে ফোন করে অভিনন্দন জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষাসূচি জানিয়ে দেওয়াই পর্ষদের রেওয়াজ। এবার সেই পরম্পরায় ছেদ পড়েছে। পর্ষদ সভাপতি স্বীকার করে নিয়েছেন বেশ কিছু কারণে এদিন সামনের বছরের মাধ্যমিকের পরীক্ষাসূচি ঘোষণা করতে পারল না পর্ষদ। পরে সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।