শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক দিয়ে। মাধ্যমিকে বাঁকুড়ার মেয়ে অন্বেষা পাইন, সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় নয়ডার মেয়ে রক্ষা গোপাল, আইএসসি-তে কলকাতার মেয়ে অনন্যা মাইতি। একের পর এক বড় পরীক্ষা। আর তাতে একের পর এক ছাত্রদের তথাকথিত একচেটিয়া প্রথমস্থান থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে ছাত্রীদের জয়জয়কার। এটাই বোধহয় এবারের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বড় পরীক্ষার সবচেয়ে বড় সাফল্য ও নজির। এদিন আইসিএসই ও আইএসসি-র ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিকেল ৩টেয় ফল প্রকাশ হয়। ওয়েবসাইট ও এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিন আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার সময় আইএসসি-র প্রথম স্থানাধিকারীর নাম ঘোষণা করে বোর্ড। কলকাতার হেরিটেজ স্কুলের ছাত্রী এবারের আইএসসি-তে প্রথম স্থান পেয়েছে। ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে অনন্যা। সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় অনন্যার সাফল্যে খুশি কলকাতাবাসী। কলকাতার খুশি হওয়ার আরও কারণ রয়েছে। এবার আইএসসিতে শুধু প্রথম স্থান দখলই নয়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানেও কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের দেবেশ লাখোটিয়া। তার সঙ্গে অবশ্য আরও ৩ জন এই স্থানে রয়েছে। লখনউয়ের আয়ুষি শ্রীবাস্তব, মুম্বইয়ের ঋষিকা ধারিওয়াল ও গুরগাঁওয়ের কিরথানা শ্রীকান্ত। এদের প্রত্যেকেরই সংগ্রহ ৯৫.২৫ শতাংশ নম্বর। তৃতীয় স্থানে ৫ জন রয়েছে। যারমধ্যে কলকাতার ২ জন। ২ জনই সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র। আনন্দ কোঠারি ও সৌগত চৌধুরী পেয়েছে তৃতীয় স্থান। তৃতীয় স্থানে বাকি ৩ জন লখনউয়ের দেবাংশী গুপ্তা, লখনউয়ের যুক্তা মীনা ও দেরাদুনের দীপ্তি এস। এখানেও লক্ষণীয় যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ৩ জন করে ছাত্রী জায়গা করে নিয়েছে। ফলে আইএসসি-তে শীর্ষে থাকার লড়াইয়ে ছাত্রদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে ছাত্রীরা। পাশাপাশি এবার আইএসসিতে কলকাতার জয়জয়কার। এদিন আইএসসি-র পাশাপাশি আইসিএসই-র ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এখানেও কলকাতার ফল চোখে পড়ার মত। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে কলকাতার বারাসত অক্সেলিয়াম কনভেন্টের দেবশ্রী পাল। তার সংগ্রহ ৯৯.২ শতাংশ নম্বর। এবার আইসিএসই-তে যুগ্মভাবে প্রথমস্থান অধিকার করেছে পুনের মুশকান আবদুল্লা পাঠান ও বেঙ্গালুরুর অশ্বিন রাও। দুজনেরই সংগ্রহ ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর। দ্বিতীয় স্থানে দেবশ্রীর সঙ্গে রয়েছে মুম্বইয়ের ফাজান বরচুকা। তৃতীয় স্থানও দখল করেছে দুজন। তিরুবনন্তপুরমের মীনাক্ষী এস ও পুনের রাঘব সিংহল। দুজনেরই সংগ্রহ ৯৯ শতাংশ নম্বর।