মাধ্যমিক, আইসিএসই, আইএসসি ও সিবিএসই-র পর উচ্চমাধ্যমিকে ছন্দপতন। এবার ছাত্রীদের দাপটের যে ধারা এই ৪টি জীবনের বড় পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল তা উচ্চমাধ্যমিকে উধাও! উচ্চমাধ্যমিকে এবার প্রথম হয়েছে হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র অর্চিষ্মান পানিগ্রাহী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.২ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের নিরিখে যা কার্যত একটি অনন্য নজির। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২ জন। মায়াঙ্ক চট্টোপাধ্যায় ও উপমন্যু চক্রবর্তী। মায়াঙ্ক হুগলির মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের ছাত্র। উপমন্যু নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানেও রয়েছে ২ জন। শুভম সিনহা ও সুরজিৎ লোহার। শুভম হুগলির আরামবাগ হাই স্কুলের ছাত্র। সুরজিৎ বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৮ শতাংশ। ফলে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানেই হুগলির ছাত্ররা জায়গা পেয়েছে। চতুর্থ স্থানেও রয়েছে ২ জন, চিন্ময় অধিকারী ও আদর্শ আগরওয়াল। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.২ শতাংশ। এবার মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে মঞ্জিষ্ঠা সাহা। মঞ্জিষ্ঠা কলকাতার বিদ্যাভারতী গার্লস স্কুলের ছাত্রী। প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৮ শতাংশ। সার্বিকভাবে মঞ্জিষ্ঠা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
এবার উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দশে জায়গা পেয়েছে ৬৬ জন ছাত্রছাত্রী। যারমধ্যে ছাত্র ৫৩ জন ও ছাত্রী ১৩ জন। উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৮৪.২০ শতাংশ। গতবারের তুলনায় ০.৫৫ শতাংশ বেশি। এবার সার্বিকভাবে মেয়েদের পাসের হারও ১ শতাংশ বেড়েছে। পাসের হারের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। পরীক্ষা শেষের ৬১ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল এদিন। ফলাফল প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্টের স্ক্রুটিনি করতে চাইলে আবেদন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।