বালিগঞ্জ টেরেসে প্রবীর দাসের বাড়িতে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কাজ করতে এসেছিলেন পরিচারিকা। এসে দরজা ধাক্কা দেন। পরে প্রতিবেশিদের সাহায্য নিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় প্রৌঢ় প্রবীর দাস মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। তাঁরা মাথায় আঘাতের চিহ্ন। দেহের আশপাশে রক্ত। বাড়ির পোষ্যটি পাশের ঘরে বন্দি। প্রবীরবাবুর স্ত্রী শাড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাড়ি ছিলেন না। মেয়ে থাকেন মুম্বইতে। আপাতদৃষ্টিতে এটা খুনের ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ।
এদিন ঘটনার পরই বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়। আসেন হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। আনা হয় পুলিশ কুকুরও। পুলিশ কুকুর আবার নমুনার গন্ধ শুঁকে বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে চলে যায়। তা থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান হয়তো আততায়ী ট্রেনে করে পালিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়না তদন্তে। কলকাতার অভিজাত এলাকায় এমন ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশিরাও।