গত ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মডেল সনিকা সিং চৌহানের মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল ওঠে ওই গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে থাকা অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দুর্ঘটনায় সনিকার মৃত্যু হয়, বিক্রম চোট পান। ঘটনার ৫ দিন পর আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনও পান তিনি। তারপর থেকে ঘটনাটি সংবাদ থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। ফলে অনেকেই মনে করছিলেন হয়তো ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেল। যদিও সেই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক তা গত রাতে প্রমাণ করে দিল পুলিশ। তদন্ত চলছিল তারও প্রমাণ দিয়ে বিক্রমকে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কসবার একটি শপিংমলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন টলিপাড়ার এই অভিনেতা। তদন্ত এগোতে গিয়ে যেসব তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে আসে সেই সূত্র ধরেই গত ৩০ মে বিক্রমকে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা দেওয়া হয়। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করার কথা। কিন্তু অভিযোগ বিক্রম তারপর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল পুলিশ। ঘটনার ৭০ দিনের মাথায় পুলিশের গারদের পিছনে জায়গা হল বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক রিপোর্টে যেটুকু পুলিশ জানতে পেরেছে তাতে বিক্রম ওই রাতে শুধু পার্টিতেই নয়, গাড়িতেও মদ্যপান করেন। সনিকার বন্ধুরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে দুর্ঘটনার পিছনে বিক্রমের মদ্যপান দায়ী। অতিরিক্ত মদ্যপানে তিনি স্টিয়ারিংয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। গাড়ির গতিও ছিল মারাত্মক। যদিও পুলিশ তথ্য প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে গেছে। অবশেষে সেই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই বিক্রমকে গারদে পুরল পুলিশ। এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে আদালত বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।