বেলা বাড়তেই শহরের বুকে ছোট ছোট মাটাডোরে মানুষের ভিড়। উড়ছে দলীয় পতাকা। মুখে স্লোগান। এই ছবিই জানান দিচ্ছিল আর কিছুক্ষণের মধ্যে আমজনতার জন্য ঘনিয়ে আসছে বিপদ। শহরবাসী ঠেকে শিখে গেছেন। মিছিলনগরী তকমা থেকে এ তিলোত্তমার রেহাই নেই। ফলে তাঁদেরও রেহাই নেই দুর্ভোগের হাত থেকে। দুপুর হতেই টের পাওয়া গেল পরিস্থিতি। একাধারে কংগ্রেসের জনসভা, সিপিএমের মিছিল, বিজেপির মিছিল। শহরের দমবন্ধ করার জন্য আর কী দরকার!
এদিন কংগ্রেস কর্মসংস্থানের দাবিতে ধর্মতলায় একটি সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেস নেতারা। অন্যদিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মিছিল করে বামফ্রন্ট। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিমান বসুর মত নেতা। রাজ্যে শান্তির দাবিতে মিছিল করেন বামপন্থীরা। অন্য একটি মিছিল করে বিজেপিও। মিছিলের ত্র্যহস্পর্শে দুপুরে স্তব্ধ হয়ে যায় কলকাতার প্রাণকেন্দ্র। মধ্য কলকাতা প্রায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়ে কলকাতার অন্য অংশেও। আধঘণ্টার পথ যেতে আড়াই ঘণ্টাও কেটে যায়। কাজের দিনে ঠায় গাড়ি বা বাসে বসে প্রমাদ গুনতে হয় আমজনতাকে। রাজপথ মিছিলের দখলে থাকায় অনেকেই পাতাল রেলে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। ফলে সেখানেও প্রবল ভিড়ে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।