প্রতিদিন ভোরে জলে আর কেউ নামুক না নামুক, কাজল দত্ত নামবেনই। কলেজ স্কোয়ারে সাঁতারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা সকলেই জানেন সেটা। প্রায় ৫০ বছর ধরে কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার কাটছেন তিনি। জাতীয় স্তরে সাঁতারু হিসাবে নামডাকও ছিল। তেমনই এক তুখোড় সাঁতারু ৬৭ বছরের কাজল দত্ত এদিন সকাল ৭টা নাগাদ জলে নামেন। অনেক্ষণ কেটে গেলে ক্লাব সদস্যদের নজরে পড়ে জামাকাপড় ক্লাবে পড়ে থাকলেও কাজলবাবুর দেখা নেই। খোঁজ পড়ে কোথায় গেলেন তিনি? ক্লাবের সকলে জলে নেমে প্রথমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ এসে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ শুরু করে। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
একসময়ের জাতীয় স্তরের এই সাঁতারু কাস্টমসে চাকরি করতেন। বহু ছাত্রছাত্রীকে সাঁতার শিখিয়েছেন তিনি। রাজ্য মহিলা ভলিবল দলের কোচও ছিলেন। জলে নেমে তাঁর মত একজন মানুষের এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। জলে তন্নতন্ন করে খোঁজ চলছে। সন্ধে পর্যন্ত বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন কলেজ স্কোয়ারের চারপাশে।