শুক্রবার সকালে সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন কলেজ স্কোয়ারের সুইমিং পুলে। তারপর আর ওঠেননি। জাতীয় স্তরে নামডাক থাকা সাঁতারু কাজল দত্তকে খুঁজতে দিনভর কলেজ স্কোয়ারের জলের তলা তন্নতন্ন করে খোঁজেন ২ ডুবুরি। কিন্তু নিট ফল হয় জিরো। তাঁকে জলাশয়ে না পাওয়ায় ক্রমশ ঘনীভূত হতে থাকে রহস্য।
এত ভাল সাঁতারু জলে ডুবে যেতে পারেন একথা মানতে পারছিলেন না ক্লাবের সদস্যরাও। তবে আশঙ্কা করছিলেন জলের মধ্যেই যদি হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে! যত সময় যাচ্ছিল এমন নানা আশঙ্কার মধ্যে একটা বিষয়ে সকলেই একমত হচ্ছিলেন, কাজলবাবু আর বেঁচে নেই। কিন্তু লাশটা কোথায়?
সেটাই খুঁজতে সন্ধে নামার পরও আলো জ্বালিয়ে চলতে থাকে নিরবচ্ছিন্ন তল্লাশি। জলের তলায় খোঁজ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ড্রাগন লাইট। জলাশয়ের জল ২টি পাম্প বসিয়ে তোলাও শুরু হয়ে যায়। এতেই কাজ হয়। এভাবে প্রায় রাত ৩টে নাগাদ অবশেষে মৃতের দেহের একটা অংশ দেখতে পাওয়া যায়। আটকে ছিল কাঠ ও বাঁশের অস্থায়ী কাঠামোয়। কাজলবাবুর দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাঁশ, কাঠে ধাক্কা লেগেই ওই আঘাতের চিহ্ন তৈরি হয়েছে। কাজলবাবুর জলের তলায় নেমে চিংড়ি ধরার শখ ছিল। সেই চিংড়ি ধরতে গিয়েই কোনওভাবে তিনি বাঁশ, কাঠের কাঠামোয় আটকে যান, নাকি জলের তলায় হার্ট অ্যাটাক বা ওই ধরণের কোনও অসুস্থতা তাঁর জীবন কেড়ে নিল তা জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।