বিকেল সাড়ে পাঁচটা। পূর্ব ঘোষণামত সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে লালবাজার অভিমুখে যাত্রা শুরু করে বামেদের বিশাল মিছিল। বামেদের লালবাজার চলোর ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন অনেক কর্মী সমর্থকই হাজির হয়েছিলেন মিছিলে। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব সহ অনেক বাম নেতা।
এদিকে লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি রাজ্য প্রশাসন। লালবাজারে ঢোকার ও বার হওয়ার গেটে ছিল ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত। দরজা ছিল বন্ধ। ভেতরে ঢুকতে বার হতে নিরাপত্তা জনিত কড়াকড়িও ছিল যথেষ্ট। প্রশাসনের তরফে ঠিক ছিল গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতেই আটকে দেওয়া হবে লালবাজারমুখী মিছিল।
মাস কয়েক আগে বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেকথা মাথায় রেখে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতে ব্যারিকেড করে ছিল প্রচুর পুলিশ। ছিল জলকামান। তৈরি ছিল ব়্যাফ, কাঁদানে গ্যাসের শেল। তবে মিছিল ব্যারিকেড অব্ধিও যাওয়ার চেষ্টা করেনি। বরং তার আগেই বামেদের আগেভাগে তৈরি করা মঞ্চের কাছেই থেমে যায় মিছিল। কয়েকজন বাম প্রতিনিধি তাঁদের দাবি পত্র নিয়ে যান লালবাজারে। ফলে কোনও রকম উত্তেজনার পরিস্থিতি এদিন সৃষ্টি হয়নি। ফলে প্রশাসন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও, সমস্যায় পড়েন বাড়িমুখো অফিস ফেরত মানুষজন। একে ক্লান্তি। তারমধ্যে প্রবল যানজট। সব মিলিয়ে নাজেহাল হতে হয় তাঁদের।