টালা ব্রিজ সংলগ্ন টালা পোস্ট অফিসের আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির ভগ্নদশা পথচলতি মানুষের নজর এড়ায় না। বাড়িগুলোর এতটাই জীর্ণদশা যে তা যে কেনও মুহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সেটাই ঘটল শুক্রবার মধ্যরাতে।
রাত দেড়টা। টালা পোস্ট অফিস সংলগ্ন একটি একতলা বাড়ির ঘরে তখন একাই ছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির এক কিশোরী। আচমকাই বিকট শব্দ করে বাড়ির একটি অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বছর ১৭-র কিশোরী পূজা কুমারী সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়েন। এমন আজব শব্দে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর যায় পুলিশ ও দমকলে। কিশোরীকে উদ্ধার করে পাশেই আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাড়িতে পুরসভার তরফে বিপজ্জনক বোর্ড লাগানো হয়েছিল ২০০১ সালেই। অভিযোগ, তারপরও ভাড়াটিয়ারা কেউ বাড়ি ছাড়ার নাম নিচ্ছিলেন না। বাড়িওয়ালাও বাড়ি সারাচ্ছিলেন না। যার ফল হল মারাত্মক। এক কিশোরীর প্রাণ গেল বাড়ি ভেঙে। এদিন সকালে পুরসভার তরফে বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলা হয়।