মহালয়ার সকালে তিলোত্তমা সেজে উঠল একদম অন্য সাজে। লেক রোডের ১ কিলোমিটারের বেশি পিচ ঢালা রাস্তা আচমকাই হারিয়ে গেল রংবাহারি কল্কার আড়ালে। পুরো রাস্তাটা সেজে উঠল রঙ্গোলীর সাজে। তবে সবটাই রংতুলির খেলা। আলপনার নিখুঁত টান। যখন ঘুম চোখে অন্ধকার থাকতে উঠে কলকাতাবাসী ব্যস্ত ছিলেন রেডিও-র পাশে বসে মহালয়া শুনতে, তখন এই রাজপথের ওপর ফিনিশিং টাচ দিতে ব্যস্ত ছিলেন শহরের শ’দুয়েক উদীয়মান শিল্পী। নূতন যৌবনের দূতেরা তাঁদের উদ্যম আর দক্ষতার গুণে পুরো কাজটা সারেন একরাতেই। আর তা যে কতটা নিখুঁত ও বেনজির ভাবনা, তা বুঝিয়ে দিল সকালের সূর্য। ভোরের আলো রাস্তার ওপর আছড়ে পড়তেই আশপাশের বাসিন্দাদের তাক লেগে গেল। ঘুম ভাঙা চোখে একবারের জন্য মনে হল এটাই কী তাঁদের চেনা লেক রোড। নাকি তাঁরা অন্য কোথাও এসে পড়েছেন!
রাজপথে গ্রাফিতির এমন ভাবনার পিছনে উদ্যোগ সমাজসেবী সংঘের দুর্গাপুজো কমিটির। কলকাতাকে দূষণমুক্ত করার জন্য তাঁদের এই উদ্যোগ তারিফের দাবি রাখে। এমন এক রঙিন কলকাতা উপহার দেওয়ার জন্য গোটা কলকাতা তাঁদের সাধুবাদ দিচ্ছে। বাহবা দিচ্ছে শিল্পীদের নিখুঁত শিল্পকর্মের। কিন্তু এরপরও কী কলকাতার হুঁশ ফিরবে? নাকি এর উপরেও অবলীলায় পানমশলার পিক ফেলে চলে যাবেন কিছু অবিবেচক মানুষ? দেখা যাক! সময় তো সবকিছুরই উত্তর দিয়ে দেয়। তাই না!