সকালে রোদ। বেলা গড়াতে বৃষ্টি। তারপর ফের রোদ। পুষ্পাঞ্জলি সেরে ওঠা বঙ্গবাসীর মনে হয়েছিল যাক এবার হয়তো বৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি মিলল। দুপুরের খাওয়া সেরে সেজেগুজে বার হওয়া যাবে নিশ্চিন্তে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। দুপুর গড়াতেই কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে শুরু হয় বৃষ্টি। ঝমঝম করে না হলেও বৃষ্টি গা-মাথা ভিজিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সঙ্গে রাস্তায় প্যাচপ্যাচে কাদা। যা আর যাইহোক অষ্টমীর দিন নতুন জামাকাপড় গায়ে ঠাকুর দেখতে বার হাওয়া মানুষের কাছে কখনই কাম্য হতে পারে না।
এদিকে দুপুরের পর এদিন যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তা থামার নাম নেয়নি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। সেখান থেকে রাত। বৃষ্টি চলেছে প্রায় এক ঢিমেতাল গতিতে। যা ঠাকুর দেখতে বার হওয়া মানুষজনকে ভিজিয়েছে। বিরক্ত করেছে। মাথায় ছাতা দিয়ে ঠাকুর দেখতে বাধ্য করেছে। আর পুজো উদ্যোক্তাদের বাধ্য করেছে তাদের সব ধরণের সাজসজ্জাই দর্শকদের সামনে তুলে ধরায় কিছুটা হলেও সমঝোতা করতে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেক প্যান্ডেলেই বাধ্য হয়ে প্যান্ডেলের কিছু অংশ ঢেকে দিতে হয়।