বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা। আচমকাই তারাতলার একটি রাসায়নিকের কারখানায় আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। টন টন রাসায়নিক মজুত থাকায় আগুন ছড়াতে সময় নেয়নি। প্রচুর পরিমাণে বাজির মশলা মজুত ছিল। আর বাজির মশলা অতিমাত্রায় দাহ্য। শুরুর দিকে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এলেও দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে বিশেষ এগোতে পারেননি। দমকলের আধিকারিকরা জানান, প্রচুর রাসায়নিক জ্বলতে থাকায় তা জল দিয়ে নেভাতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। অর্থাৎ আগুন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাই দমকলকর্মীরা কারখানার বাইরে জল দিতে থাকেন। যাতে আগুন কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। দমকলের বক্তব্য, এই আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে যাওয়া ভুল। রাসায়নিক জ্বলতে জ্বলতে একসময়ে তা নিভে যাবে নিজে থেকেই। যেটা বিশেষভাবে নজর রাখার যে আগুন কারাখানার বাইরে যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে। সেদিকেই নজর রাখে দমকল। এদিকে আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানায়। মাঝে মধ্যে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। আগুনের হল্কা বেরিয়ে আসে কারখানা থেকে।
এদিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে কমবেশি চোট পান কয়েকজন দমকলকর্মী। বেলায় ঘটনাস্থলে হাজির হন দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। আগুন নেভাতে জল বা ফোম ব্যবহার করতে পারা যাচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী। তবে বালি ফেলে বাইরে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়। দমকলমন্ত্রী জানান, কারখানায় আগুন নেভানোর ব্যবস্থা সব ঠিকঠাক ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। দেখা হবে আগুন লাগার কারণও। তবে আগুন লেগে কারখানার ক্ষতি হলেও তখন কারখানার মধ্যে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় এদিন বিকেলের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।