সকাল থেকেই চলছিল মেঘ-রোদের খেলা। কোথাও কোথাও টুকটাক বৃষ্টিও হচ্ছিল। তবে তা উল্লেখযোগ্য ছিল না। তবে অশনি সংকেতটা বেশ পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল উৎসবপ্রেমী মানুষজনের কাছে। বিকেল নামতেই হুহু করে কলকাতার আকাশে জমা হতে থাকল কালো মেঘ। ক্রমশ ঢেকে গেল শরতের নীল আকাশ। হারিয়ে গেল মিঠে বিকেল। তার জায়গায় বর্ষার গন্ধ মেখে শহর জুড়ে শুরু হল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এদিন বিকেলে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি নামে।
গত মঙ্গলবার ছিল ধনতেরাস। প্রধানত অবাঙালিদের উৎসব। তবে ভূত চতুর্দশী মানেই কিন্তু বঙ্গবাসীর জীবনে ৪ দিনের উৎসবের ছোঁয়া। রাত পোহালেই কালী পুজো। মোমবাতি, প্রদীপে তার আগের সন্ধেয় সেজে ওঠা বাঙালির পুরানো রীতি। আর সেখানেই বাধ সাধল বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপের ঘনীভূত হওয়ার কথা শেষ দু-এক দিন ধরেই জানান দিচ্ছিলেন আবহবিদেরা। এদিন সেই নিম্নচাপের জেরেই কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলিতে শুরু হল বৃষ্টি।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে কালীপুজো ও তার পরদিন ভাসাবে বৃষ্টি। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোও বর্ষার আবহেই কাটাতে হবে বঙ্গবাসীকে। যদি না নিম্নচাপ সরে যায় বা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে তা জানাতে পারে একমাত্র আবহাওয়া দফতর। সেই সুখবর যতক্ষণ না আসছে ততক্ষণ বৃষ্টিভেজা আলোর উৎসব পালনের জন্যই তৈরি থাকতে হবে শহরবাসীকে। কলকাতা ছাড়াও বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।