বেলেঘাটার একটি আবাসনে পাশাপাশি ২টি ফ্ল্যাট। একটি ফ্ল্যাটে বাবা মায়ের সঙ্গে থাকত ১০ বছরের নিকুঞ্জ বাল্মীকি। তার একটি ছোট বোনও রয়েছে। ভাই-বোন প্রায়শই পাশের ফ্ল্যাটে খেলতে যেত। বালকের পরিবারের অভিযোগ, এদিন তারা পাশের যতীন সিংয়ের বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর মেয়েকে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ফিরিয়ে দিয়ে যায়। জানায় ছেলে খেলছে। কিন্তু মেয়ের জামায় রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। তিনি স্বামীকে নিয়ে পাশের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁদের ছেলে কোথায় জানতে চান। কিন্তু যতীন সিংয়ের পরিবার জানায় ছেলে অন্য জায়গায় খেলছে।
সন্দেহ হয় বাবা-মায়ের। প্রায় জোর করেই ফ্ল্যাটে ঢুকে ছেলের নাম ধরে ডাকতে ক্ষীণ স্বরে ভেসে আসে ছেলের গলার স্বর। বাথরুম থেকে শব্দ আসছে শুনতে পেয়ে বাথরুম খুলে তাঁরা দেখেন ছেলের মাথায়, গলায় কোপের চিহ্ন। সারা দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বালককে। অভিযুক্ত পরিবারের দাবি ছেলেটি বঁটির ওপর পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দেহের বিভিন্ন অংশে তাহলে কোপের দাগ এল কোথা থেকে? পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।