ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিট। বেলেঘাটা সিআইটি মোড়মুখী ক্রেনটা কাঁপতে কাঁপতে এগিয়ে আসছিল। উল্টোদিক দিয়ে তখন মেয়েকে নিয়ে সাইকেলে আসছিলেন রবীন্দ্রনাথ দাস। রাস্তার মাঝখানের ফাঁক দিয়ে অন্য পাড়ে যাবেন তিনি। পিছনে বসে ছোট মেয়ে শ্বেতা। শুঁড়াকন্যা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু রাস্তা পার করতে গিয়ে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
নিমেষের মধ্যে ক্রেনটি এসে ধাক্কা মারে সাইকেলে। দুই দিকে ছিটকে যান ২ জন। রবীন্দ্রবাবুর হাতের উপর উঠে যায় ক্রেনের সামনের চাকা। জ্ঞান হারান তিনি। আর ক্রেনের পিছনের চাকায় পিষে যায় শ্বেতার মাথা। রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে অটোতে যাচ্ছিল শ্বেতার দিদি। একই স্কুলে পড়ে তারা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে চিৎকার করে সাহায্যের জন্যে কাঁদতে থাকে সে। বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় মদ্যপ ক্রেন চালক। ঘাতক ক্রেনে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। তাঁদের দাবি, চালক আগেই ব্রেক কষলে এমন ভয়ানক পরিণতি হত না।
এর আগেও বহুবার ঐ রাস্তায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। আহতও হয়েছেন বহু। এদিনের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। অবিলম্বে রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাম্পার ও সিগনাল বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। আহত রবীন্দ্রবাবুর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকের ছায়া মেধাবী ছাত্রী শ্বেতার স্কুলেও।