রবিবার রাতে শেষ হল লড়াই। মারা গেলেন পিঙ্কি মালিক। বছর ২৮-এর এই গৃহবধূ গত ২৮ অক্টোবর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দ্রুত তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৭ দিনের লড়াইয়ের পর হার মানলেন পিঙ্কি মালিক।
পিঙ্কির বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, পিঙ্কিকে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের এও দাবি যে তাঁদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বার বার পণের টাকা চেয়ে মেয়ের ওপর চাপ দিত। টাকা দিতে না পারলে মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন পিঙ্কিদেবীর আত্মীয়রা। পুলিশ সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পিঙ্কিদেবী বয়ান দিয়েছিলেন যে তিনি নিজেই নিজের গায়ে আগুন লাগান। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, পিঙ্কি মালিকের ছোট ছেলে জানিয়েছে যে তার বাবাই মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ফুলবাগান থানার পুলিশ।