অবশেষে রানাঘাট সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলার যবনিকা পতন ঘটল। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক নজরুল ইসলাম ওরফে নাজুকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। অনাদায়ে আরও আড়াই বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া ডাকাতি ও ষড়যন্ত্রেও পৃথক সাজা দেওয়া হয়েছে নজরুল ইসলামকে। ডাকাতির দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার। সঙ্গে ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। এছাড়া ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার আরও ১০ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। মিলন সরকার, ওহিদুল ইসলাম বাবু, খালিদুর রহমান, মহম্মদ ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা। ষড়যন্ত্র ও দুষ্কৃতীদের আশ্রয়দানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত গোপাল সরকারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিন শাস্তি ঘোষণার পর কনভেন্ট অফ জেসাস অ্যান্ড মেরির সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার মনিকা জোসেফ মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রেড লেটার ডে, বিচার পেলাম। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা এদিনের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন।
২০১৫ সালে রাণাঘাটের একটি স্কুলে ঢুকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময়ে ডাকাতির পাশাপাশি এক বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণেরও অভিযোগ ওঠে। প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সেই ঘটনায় এদিন সাজা ঘোষণা করল আদালত।