৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিভাবকদের ক্ষোভ ফেটে পড়ল কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে। অভিভাবকদের অভিযোগ ৩ বছর আগেও এমনই একটি ঘটনা এই স্কুলে ঘটেছিল। তখন সেই অভিযোগ রাতারাতি তুলে নেওয়া হয়। কি করে তা সম্ভব তা জানতে চান অভিভাবকরা। সেইসঙ্গে তাঁদের ক্ষোভ, আগেও যখন এমন ঘটনা ঘটেছে তখন কেন স্কুলের ছাত্রীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিন সকাল থেকেই স্কুলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্কুলের বাস আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ অভিভাবকদের সরাতে এলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে অভিভাবকরা স্কুলের প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। প্রিন্সিপালকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানান তাঁরা। কেন স্কুলে পুরুষ ঢোকে তাও জানতে চান তাঁরা। তাহলে ছাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবে কে? দফায় দফায় বিক্ষোভের মাঝে দুপুরে স্কুলে আসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা। স্কুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্নাভেজা গলায় জানান, তাঁর মেয়ের হার্টে ফুটো আছে। তার পরও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা। কিন্তু স্কুলের ২ পুরুষ শিক্ষক তাঁর মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তাঁর দাবি, স্কুলে এখনও প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন পড়াতে। তারপরও তাঁর ছোট্ট মেয়ে কোনও সুরক্ষা পেল না। তার সঙ্গে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল। এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। একই বক্তব্য অন্যান্য অভিভাবকদের গলাতেও। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য ওই শিশুর সঙ্গে যা ঘটেছে তা সব সীমা পার করে দিয়েছে। এদিন ক্ষুব্ধ উত্তেজিত অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষিকাদেরও আটকে রাখেন।
এদিকে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত যে শিশুটির সঙ্গে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যা ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। পুলিশ স্কুলের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে এদিন অভিভাবকরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তখন স্কুলে হাজির হন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা কর্মী। তাঁরাও বিক্ষোভে সামিল হতে চান। কিন্তু অভিভাবকরা হাত জোর করে তাঁদের বার করে দেন। জানিয়ে দেন এই বিক্ষোভে রাজনীতির রং তাঁরা লাগতে দিতে রাজি নন।