বাড়ির সদর দরজার কাছ অবধি বেয়ে এসেছে রক্তের ধারা। কয়েক পা এগোতেই সিঁড়ির উপর পড়ে গলাকাটা বৃদ্ধের নিথর দেহ। ভয়ংকর এই খুনের ঘটনা ঘটেছে সল্টলেকে। সূত্রের খবর, সল্টলেকের বাড়িতে প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার বৃদ্ধ অভিজিৎ নাগ চৌধুরী একাই থাকতেন। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা অন্যত্র থাকেন। তবে তাঁদের সঙ্গে অভিজিৎবাবুর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকের বি ডি ব্লকে বাড়ির সিঁড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় অভিজিৎবাবুর ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র দেহ। সম্ভবত বুধবার রাতে তাঁকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
গলার নলি কাটা ছাড়াও তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। বিশেষ করে মৃতের পেট ও যৌনাঙ্গের কাছে ক্ষতের চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধকে বারবার আঘাত করা হয়। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের জামাই ও ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। রাজ্যে একা থাকা প্রবীণ ব্যক্তিরা কি আদৌ নিরাপদ? এই প্রশ্নটাই দুর্গাপুরের পর আরও একবার উস্কে দিল সল্টলেকের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড।