রবিবার ভোর। দোকানে হাজির হয় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। টোকা দেয় দরজায়। দোকানে তখন ঘুমচ্ছিল কিছুদিন আগে কাজে যোগ দেওয়া বনিত সিং। দরজায় টোকা শুনে ঘুম চোখে দরজা খোলে সে। ওই ব্যক্তি তার কাছে জল চায়। জল আনতে দোকানের মধ্যে গেলে আচমকাই ওই ব্যক্তি দোকানে ঢুকে তাকে কিছু শুঁকিয়ে অজ্ঞান করে দোকানে রাখা ৯টি সোনার বাট ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। পরে বনিত সিংকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন দোকানের মালিক।
এই গল্পই পুলিশকে জানিয়েছিল দোকানের কর্মচারি বনিত। রবীন্দ্র সরণির ওই দোকানের মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে কিছুদিন আগেই কাজে যোগ দেয় বনিত। পুলিশকে সে বিশ্বাসযোগ্য গল্প শোনালেও পুলিশের কোথাও একটা খটকা লাগে। এরপর তদন্তকারী আধিকারিকরা বনিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে এক সময়ে সে ভেঙে পড়ে। জানায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং তার এক সাগরেদকে সঙ্গে করে এই গল্প ফাঁদে সে।
পরিকল্পনামাফিক তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা। পুলিশের চোখকে ধুলো দিতে পারলনা বনিতের আষাঢ়ে গপ্পো। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৯টি সোনার বাট ও দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।