দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে বাসিন্দা নীলাঞ্জনা দাস নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত শুক্রবার সকালে নীলাঞ্জনাকে ডাকতে তার বাড়িতে যায় কয়েকজন বান্ধবী। ঘরের ভিতরে নীলাঞ্জনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। পরে প্রতিবেশিদের থেকে খবর পেয়ে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়ের মৃত্যুর জন্য পিসি ও পিসেমশায়ের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন কিশোরীর মা বাবা। তাঁদের অভিযোগ, নীলাঞ্জনার উপর অত্যাচার চালাত তার পিসি পিসেমশায়। লোভ দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে নীলাঞ্জনাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন মৃতার মা। যদিও তাঁর সেই অভিযোগ মানতে নারাজ মৃত কিশোরীর পিসি-পিসেমশায়।
মৃত নীলাঞ্জনার পিসির দাবি, গত বৃহস্পতিবার রাতে নীলাঞ্জনার সঙ্গে দেখা করতে আসে প্রতিবেশি এক যুবক। ঐ যুবক নীলাঞ্জনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে বলে পিসিকে জানায় কিশোরী। তারপরে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। প্রেমঘটিত কারণে নীলাঞ্জনা আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে দাবি মৃত কিশোরীর পিসির। সব মিলিয়ে কিশোরীর রহস্যমৃত্যুর কারণ ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশ আধিকারিকদের।