ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ২টো বেজে ২০ মিনিট। ফুলবাগান থানার ভিতরে বসে জনা কয়েক পুলিশ অফিসার। আচমকা দুপুরের নিস্তব্ধতা খানখান করে দিল গুলির তীব্র আওয়াজ। আওয়াজটা যে থানার সামনেই হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত থানার ভেতর থাকা পুলিশকর্মীরা। তড়িঘড়ি তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে তাঁদেরই এক সহকর্মী। রক্তের দাগ ছিটকে গিয়ে ছুঁয়েছে মাথার উপরের সিলিং। দ্রুত ওই পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুক্রবার দুপুরে ফুলবাগান থানার সামনে এক পুলিশকর্মীর এমন ভয়ানক অবস্থা দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে ওই পুলিশ কনস্টেবল আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ভৈরব ওঁরাও নামের ঐ কনস্টেবল থানার মূল দরজার মুখে তাঁর সার্ভিস রাইফেল নিয়ে কর্তব্যরত ছিলেন। আচমকাই উর্ধ্বমুখী সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চলে। গুলি তাঁর গলা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাঁকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মাঝবয়সী কনস্টেবলের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন মৃত পুলিশকর্মী। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে তিনি আত্মঘাতীই হয়েছেন, নাকি কোনওভাবে অসাবধানতাবশত গুলি ছিটকে তাঁর গায়ে লাগে।