প্রতিবন্ধী বোনের নামে সম্পত্তি হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রতিবন্ধী মহিলাকে দিদি ও জামাইবাবু খুন করেছে। এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল বেহালা। মৃত মহিলার নাম কাকলি দাস। সম্পত্তির লোভে তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দিদি কেয়া মণ্ডলের বিরুদ্ধে। শ্যালিকাকে খুনের বিষয়ে তাঁর জামাইবাবুও জড়িত বলে দাবি মৃতার আত্মীয় ও প্রতিবেশিদের। যদিও তাঁদের দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কেয়া মণ্ডল। তবে সাংসারিক অশান্তির কারণে মায়ের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বিয়ের পরে বেহালার ব্রজেন মুখার্জী রোডে স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়িতে থাকতেন কেয়া মণ্ডল। অভিযোগ, বাপের বাড়ির সম্পত্তি আত্মসাৎ করার মতলব ছিল মৃতার দিদি ও জামাইবাবুর। গত একমাস ধরে তাঁকে ও তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়েকে কেয়া মারধর করত বলে দাবি মৃতার মায়ের। প্রতিবন্ধী কাকলি দাসকে খেতে দেওয়া হত না বলেও উঠছে অভিযোগ।
গত মঙ্গলবার রাতে কেয়া মণ্ডল ও তার স্বামীকে কাকলির মৃতদেহ বাড়ি থেকে বার করতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশিদের। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মৃতার আত্মীয়রা। তাঁরা সকলে মিলে চেপে ধরেন মৃতার দিদি ও তার স্বামীকে। মৃতার ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে কেয়া মণ্ডলের বলা সময়ের পার্থক্য ধরা পড়ে জেরায়। সন্দেহ হওয়ায় কেয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় বেহালা থানায়। কিন্তু বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযুক্তদের বহাল তবিয়তে ঘুরতে দেখে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে এলাকাবাসীর। অভিযুক্ত মহিলাকে পুলিশের সামনেই মারধর করা শুরু করেন কয়েকজন মহিলা। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত কাকলি দাসের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য তারা অপেক্ষা করছে, এর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।