Kolkata

একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূল-বিজেপির, পাথুরিয়াঘাটায় তুলকালাম

বিজেপির প্রতিরোধ সংকল্প অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াল জোড়াবাগানের পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে। বিজেপির দাবি, তাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য এখানে বিনানি ভবনে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সমর্থকেরা হাজির হয়েছিলেন। গত রাত থেকেই এখানে হাজির হচ্ছিলেন তাঁরা। রাতে তাঁরা বিনানি ভবনেই ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বিনানি ভবনের সামনে হাজির হন তৃণমূলের কর্মীরা। গোটা ভবন ঘিরে ফেলেন তাঁরা। এরপর বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এই সময়ে স্থানীয় কাউন্সিলরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই হামলা হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এতে তাঁদের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন আরও বিজেপি কর্মী সমর্থক। শুরু হয় পাল্টা ভাঙচুর। তাঁদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা বাঁশ, লাঠি নিয়ে প্রচুর চেয়ার ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর হয় বেশ কয়েকটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। আশপাশের দোকানেও ভাঙচুর চলে।


তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তারা কোনও হামলা চালায়নি। স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষে তারা এলাকায় জমায়েত করে শোভাযাত্রা বার করার উদ্যোগ নিচ্ছিল। সেই সময়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয় মানুষজনের একাংশের দাবি, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাড়ির মহিলাদেরও রেয়াত করেননি। মারধর করা হয়েছে নির্বিচারে। বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকের মাথা ফেটে গেছে। ভাঙচুর হয়েছে প্রচুর দোকানপাট। গোটা ঘটনায় তাঁরা আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতের দিকে।

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে এদিন সকাল থেকে এভাবেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানের পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট। দোকানপাট সকালে খোলার চেষ্টা হলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক মানুষ ভয়ে বাড়ি থেকে বার হননি। পরে ডিসি নর্থের নেতৃত্বে এলাকায় হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা অবস্থা আয়ত্তে আনে। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। কিন্তু দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা বেলা পর্যন্ত গড়ায়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button