কৈখালির চিনার পার্কে বসুন্ধরা আবাসন থেকে উদ্ধার হল এক যুবতীর মৃতদেহ। মৃতার নাম সোনম সিংহ। একটি পানশালায় নর্তকী হিসাবে কাজ করতেন মৃত যুবতী। বসুন্ধরা আবাসনের পাঁচতলায় ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। গত রবিবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে সোনমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে যুবতীর মৃত্যু নিয়ে আবাসনবাসীর মধ্যে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। যুবতীর রহস্যমৃত্যু ভাবিয়ে তুলছে পুলিশকেও।
রহস্যের সূত্রপাত আবাসনের একতলার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে আসার পর থেকেই। পুলিশ সূত্রের খবর, ফুটেজটিতে দেখা গেছে গত রবিবার সকালে বসুন্ধরা আবাসনে ঢুকছেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি মৃত যুবতীর পূর্বপরিচিত বলে দাবি আবাসনের বাসিন্দাদের। মাঝে মাঝেই তিনি সোনামের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন বলেও জানিয়েছেন আবাসনবাসীরা। ফুটেজে স্পষ্ট, ওই ব্যক্তি ৫ তলায় উঠলেন না। অথচ আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে যুবতীর ফ্ল্যাট ভিতর থেকে বন্ধ থাকার দাবি করছেন। এরপরেই আবাসন থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। এখানেই রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
মৃত নর্তকীর ঘর ভিতর থেকে যে বন্ধ তা উপরে না গিয়েই কি করে জানতে পারলেন ওই ব্যক্তি? পাঁচতলায় না গিয়ে তিনি পরে কেনই বা চলে গেলেন আবাসন ছেড়ে? তাহলে কি তিনি আগেই জানতেন নর্তকীর মৃত্যুর ব্যাপারটি? কিন্তু কিভাবে? এই সব প্রশ্নই এখন ভাবিয়ে তুলছে পুলিশকে। ঘটনার তদন্তে নেমে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। মৃত যুবতীর পরিচিত ওই ব্যক্তির ফোন বন্ধ থাকায় আরোই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। খুন নাকি আত্মহত্যা? যুবতীর মৃত্যুর পিছনে কোন তত্ত্ব কাজ করছে তা খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।