বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বাংলায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দিলেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। সেইসঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি স্কুল, কলেজে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জিও ৪জি সুবিধা পৌঁছে যাবে বলেও এদিন জানিয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধার। এদিন তাঁর বক্তব্য জুড়েই ছিল বাংলার প্রশংসা ও সম্ভাবনার কথা। এদিন তাঁর ঘোষণা, বাংলা মানেই বাণিজ্য। বাংলার দীর্ঘদিনের ধীরে চলো নীতি ত্যাগ করে রাজ্য যে এখন নতুন রূপে বাণিজ্যবন্ধু পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে তার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি। আগামী দিনে বাংলার পাশে থাকারও আশ্বাস দেন দেশের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি।
ইস্পাত শিল্পের জগতে তিনি নিজেকে বিশ্ব জুড়ে এক ‘আইকনিক ফিগার’ হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তবে তাঁর শিকড় বাংলা। এখানেই বড় হওয়া। পরে বিশ্ব মানচিত্রে তিনি ইস্পাত শিল্পের ঈশ্বরে পরিণত হন। তিনি লক্ষ্মী মিত্তল। যাঁকে একডাকে চেনে গোটা পৃথিবীর শিল্পজগত। কিছুদিন আগে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে। আর এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে থেকে বাংলার বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি। শিল্প সহযোগী পরিবেশ যে এই মুহুর্তে বাংলায় রয়েছে তাও মেনে নেন লক্ষ্মী মিত্তল।
একসময়ে যে শালবনিতে কারখানা গড়েও পিছু হটেছিলেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল, সেই শালবনিতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে হাসি মুখে শিল্পযাত্রা শুরু করলেন তিনি। শুরু হল সিমেন্ট কারখানার যাত্রা। রাতে তিনি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজেও। আর মঙ্গলবার বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনের মঞ্চেও সমানভাবেই তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি রাজ্যে বিনিয়োগে তাঁর উৎসাহের বার্তাই দিয়ে গেল। এদিন তাঁর বক্তব্যে তিনি সকলকেই বাংলায় লগ্নি করার পরামর্শ দেন। বাংলায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে বলে দাবি করে সজ্জন জিন্দল বলেন, সেজন্যই তিনি শালবনিতে ফিরে আসার সাহস পেয়েছেন। সাহায্য পেয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
বাংলার যে ‘মাইন্ড সেট’ বদলেছে তা এদিন নিজের বক্তব্যে মেনে নিলেন দেশের আর এক শিল্পপতি উদয় কোটাকও। তিনি সাফ জানান, বাংলায় এখন শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে এখানে শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)