সকাল পৌনে ৭টা। শ্বাসকষ্ট চরমে ওঠায় কসবার বাসিন্দা বছর ৫৪-র অলোক দাসকে নিয়ে আসা হয় বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে। সায়েন্স কলেজের কর্মী অলোকবাবু বরাবর এই হাসপাতালেই চিকিৎসা করান। এদিন অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে নিয়ে আসা হলেও হাসপাতালের তরফে জানানো হয় এমারজেন্সিতে কোনও বেড ফাঁকা নেই। এমনই দাবি করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই ক্রমশ অবনতি হতে থাকে অবস্থার। পরিবারের দাবি, যা পরিস্থিতি ছিল তাতে তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থাই ছিল না। ফলে তাঁরা বারবার অ্যাপোলো হাসপাতালের রিসেপশনে অনুরোধ করতে থাকেন, যেন তাঁদের রোগীকে কোনও চিকিৎসক একবার পরীক্ষা করেন। কিন্তু এক ঘণ্টার ওপর ওভাবে পড়ে শ্বাসকষ্টে কাতরাতে থাকা অলোকবাবুকে দেখতে একজনও চিকিৎসক আসেননি বলে অভিযোগ পরিবারের।
সকাল ৮টার পর অলোকবাবুকে হাসপাতালের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা অলোকবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, হাসপাতাল যদি একটু আগে ব্যবস্থা নিত তাহলে অলোকবাবুকে এভাবে মরতে হত না। চিকিৎসা না করে ফেলে রাখার অভিযোগে এদিন সকালে অ্যাপোলো হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন।