প্রথম অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু। দ্বিতীয় অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি মৃতের পরিবারকে না দেওয়া। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিবারকে ধোঁয়াশায় রাখা। তৃতীয় অভিযোগ, পরিবার মৃতদেহ গ্রহণ না করলেও হাসপাতালের পিছনের দরজা দিয়ে মৃতদেহ বার করে দেওয়ার চেষ্টা। আর চতুর্থ অভিযোগ, হাসপাতালের অমানবিক মুখ। এই অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠল উডল্যান্ডস হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে মানবিক হতে বললেও অবস্থা বদলায়নি। বজায় রয়েছে তাদের অমানবিক কার্যকলাপ।
মৃত ব্যক্তি গৌতম পাল হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা। গত ১৫ জানুয়ারি মা উড়ালপুলে বাইক দুর্ঘটনায় হাতে-পায়ে গুরুতর চোট পান গৌতমবাবু। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে। বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। গৌতমবাবুর পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ফোন আসে তাঁদের কাছে। জানানো হয়, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে রোগীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু যে মানুষটা সন্ধ্যার সময় সুস্থ ছিলেন, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁর মৃত্যু হয় কি করে? রোগীর পরিবারের তরফে এই প্রশ্ন করা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। কোন সদুত্তর না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয় বন্ধুরা। মৃতের পরিবারের বিক্ষোভের জেরে বুধবার সকালে ব্যস্ত সময়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বর্ধমান রোড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আলিপুর থানার পুলিশ। গৌতম পালের পরিবার তাঁর মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এ বিষয়ে উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ দুপুর পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।