দমদম গোরাবাজারের বিধ্বংসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ ঘণ্টা লেগে গেল দমকলের। তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাই চাপা আগুন উঁকি দিচ্ছে। ফলে সোমবার দুপুর পর্যন্ত চলে দমকলের জল দেওয়ার কাজ। পোড়া এলাকা সম্পূর্ণ ঠান্ডা না হাওয়া পর্যন্ত ছাই চাপা আগুনের ভয় থেকেই যাচ্ছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিয়ে রাজি নন দমকলকর্মীরা। এদিকে আগুনে দম বন্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হয়েছে। সকালে এক চা দোকানের মালিকের দেহ উদ্ধার হয় শাটার বন্ধ পোড়া দোকান থেকে। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরে আরও একজনের দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁরও দেহ উদ্ধার করেছে দমকল।
এদিকে আগুনের গ্রাসে যেভাবে দোকানপাট পুড়েছে, যেভাবে মাছ, মাংস, আনাজ পুড়ে ছাই হয়েছে, অন্যান্য সামগ্রি কালো পোড়ায় রূপান্তরিত হয়েছে, তাতে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটির ওপর। তবে সব হিসাব এখনই সম্ভব নয়। এখনও অনেক ব্যবসায়ী বুঝেই উঠতে পারছেন না কি করবেন। পুজোর দিনে দিশেহারা মানুষের চোখের জল মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে দমকলের হোসপাইপের জলের সঙ্গে।