পেরিয়ে গেছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময়। এখনো খোঁজ মেলেনি ফ্লোটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরিন্দম বসুর। আত্মহত্যা করতেই লঞ্চের সামনের কেবিনে গিয়েছিলেন তিনি? নাকি কেউ তাঁকে জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে? নাকি নেহাতই অসাবধানতা থেকে জলে পড়ে যান তিনি? দেহ না খুঁজে পাওয়ায় উত্তর মেলেনি তারও। অতএব এখন ভরসা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত।
মঙ্গলবার সকাল হতেই যে লঞ্চে গত শনিবার বসেছিল পিকনিকের আসর, সেখানে উপস্থিত হন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দল। গত শনিবার ঠিক কি হয়েছিল তার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীকে প্রশ্নও করেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রশ্ন করা হয় ঘটনার দিন লঞ্চে উপস্থিত বাকি যাত্রীদেরকেও। লঞ্চ থেকে কি আদৌ গঙ্গার বুকে পড়ে যাওয়া সম্ভব? লঞ্চের সমস্ত অংশ খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে এখনও খুনের স্বপক্ষে পাওয়া যায়নি কোনও জোরাল প্রমাণ। বরং দুর্ঘটনার স্বপক্ষে উঠে আসছে একাধিক তথ্য প্রমাণ। ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ফ্লোটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি পৌঁছে যান লঞ্চের উন্মুক্ত ডেকের একেবারে সামনে। তবে কি নেশার ঘোরে অরিন্দম বসু নিচে পড়ে যান? জানার চেষ্টা করছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা।
তাঁর স্বামীকে খুন করাই হয়েছে, এই দাবিতে অবশ্য এখনও অনড় অরিন্দমবাবুর স্ত্রী অদিতি বসু। পারিবারিক অশান্তি থেকে আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ তিনি। তাই খুন, আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা, সমস্ত সম্ভাবনাকেই খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকসহ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে চলছে বন্দর এলাকায় গঙ্গা বক্ষে অরিন্দম বসুর দেহ উদ্ধারের জোরকদম তল্লাশি।