সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক গার্ড। সিগনাল লাল হয়ে আছে। অভিযোগ তা উপেক্ষা করেই সেক্টর ফাইভের দিকে গাড়ি ঘোরাতে গিয়েছিল বাস চালক। সেইসময় ইএম বাইপাসের চিংড়িহাটা মোড়ের কাছে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ২ যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বেপরোয়া বাস ধাক্কা মারে ওই ২ যুবককে। আচমকা ঘাড়ের ওপর দুরন্ত গতির বাস এসে পড়ায় নিরাপদ দূরত্বে সরার সময়টুকুও পাননি ২ যুবক। যার ফলে বাসের চাকায় নিমেষে পিষ্ট হয়ে যান তাঁরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বেলেঘাটার চিংড়িঘাটা মোড়। উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালান সরকারি ও বেসরকারি বাসে। ভাঙচুর করা হয় প্রাইভেট গাড়িতেও। ক্ষিপ্ত জনতা আগুন ধরিয়ে দেন পুলিশের গাড়িতে। ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতির মাশুল বারবার দিতে হচ্ছে নিরীহ পথচারীদের। এই অভিযোগে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। ব্যস্ত সময়ে ইএম বাইপাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। স্তব্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। ব্যস্ত সময়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন বাইপাস দিয়ে যাতায়াত করা মানুষজন।