বুধবার সন্ধেয় ছেলের সঙ্গে বাঁশদ্রোণী থেকে গড়িয়া যাচ্ছিলেন এক প্রৌঢ়া। বছর ৫৫-র ওই প্রৌঢ়ার হাঁটুর সমস্যা আছে। অটোর পিছনে বসতে পারেননা। তাই সামনে বসেছিলেন তিনি। ছেলে বসেছিলেন পিছনে। অভিযোগ অটো চালাতে শুরু করে অটোচালক ক্রমশ ওই প্রৌঢ়ার দিকে ঘেঁষে আসতে থাকে। প্যান্টালুনসের কাছে এসে আর সহ্য করতে পারেননি ওই প্রৌঢ়া। ক্রমাগত শ্লীলতাহানির অভিযোগে চেঁচিয়ে রুখে দাঁড়ান তিনি। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। ছেলে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ ওই প্রৌঢ়ার অভিযোগক্রমে অটোচালককে গ্রেফতার করে।
নেতাজিনগর থানায় ওই প্রৌঢ়া অভিযোগ দায়েরের পর বেরিয়ে একটি রিক্সা ধরে ছেলের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে গেলে তাঁদের ঘিরে ঘরে একদল অটোচালক। অভিযোগ সেখানে তাঁদের অপমান করা হয়। মারধরের চেষ্টা হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মা ও ছেলে। কার্যত তাদের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। অন্যদিকে অটোচালকদের আস্ফালন চলতেই থাকে। তাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযোগ তুলে নিয়ে গ্রেফতার হওয়া অটোচালককে মুক্তি দিতে হবে। এদিকে থানার কাছে হওয়ায় দ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। অভিযোগকারিনী ও তাঁর ছেলেকে পুলিশই গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এদিকে অটোচালকদের দাবি এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গড়িয়া-টালিগঞ্জ রুটে অটো বন্ধ করে দেয় তারা। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের শহরে অটো দৌরাত্ম্যের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ জমেছে।