গত বৃহস্পতিবার ছিল অমাবস্যা। আর তার ঠিক দুদিন পরই কিনা সন্ধে নামতেই আস্ত চাঁদ উঠল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গা ঘেঁষে ওঠা সেই পূর্ণচন্দ্র দেখে হতবাক কলকাতাবাসী। সামনেই অতিকায় চাঁদ। গায়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশাল বিশাল খোঁদল, পাহাড়। এমনকি চাঁদের মাটিটা পর্যন্ত স্পষ্ট। তাও কোনও টেলিস্কোপে চোখ রেখে নয়, একেবারে খালি চোখে। ভাবছেন সুপার ব্লু ব্লাড মুন দর্শনের পর ফের কোনও মহাজাগতিক বিস্ময় দেখার সুযোগ এল কলকাতার? নাঃ, ঠিক তা নয়। এ হল ব্রিটিশ শিল্পীর হাতের যাদু। আর সেই যাদুতেই মুগ্ধ কলকাতা।
ভারত-ব্রিটেন সাংস্কৃতিক বর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই বিরল শিল্পকে ভারতে এনেছে। ব্রিটিশ শিল্পী লিউক জেরম এই অতিকায় চাঁদটি তৈরি করেছেন। যা বসানো হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গায়ে। ২৩ ফুট ব্যাসের এই বিস্ময়কে দেখে কার্যতই হতবাক সকলে। গোলাকৃতি এই চাঁদের মধ্যে পোরা আছে হিলিয়াম গ্যাস। চাঁদের গা জুড়ে যা দেখা যাচ্ছে তা নাসা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন চিত্র দেখে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের প্রতি ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যা রয়েছে তা ৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে এই চাঁদের ‘রেপ্লিকা’য়। শনিবারের সন্ধ্যায় যাঁরাই এই চাঁদ দেখেছেন তাঁরাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। চাঁদের গায়ের যেসব ছবি তাঁরা এতদিন দেখেছেন, সেগুলিই চর্মচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন এই চাঁদের গায়ে বলে মেনে নিয়েছেন দর্শকরা। ৬ মাস ধরে দিনরাত এক করে এই চাঁদ তিনি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন জেরম। ইতিমধ্যেই চাঁদটিকে নিয়ে ইতালি, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হংকং সহ বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে ফেলেছেন তিনি। এবার এসেছেন ভারতে। যাত্রা শুরু করেছেন বেঙ্গালুরু থেকে। সেখান থেকে মুম্বই। তারপর দিল্লি হয়ে কলকাতা। প্রদর্শনীর মত ক্ষণিকের জন্য শহরের আইকনিক স্থানের পাশে রাখা হচ্ছে এই চাঁদকে। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন শহরবাসী।